অটোরিকশা ছিনতাই করতে কিশোরকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলার সুধারাম থানা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতেই চালক রিয়াজকে (১৬) হত্যা করা হয়। এ হত্যার দায় স্বীকার করে জুডিশিয়াল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সুধারামের কাদির হানিফের মাসুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ তার ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর রাতেই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মো. মাসুদ (২৫) সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশপুর গ্রামের গফুর আলী বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা চালক রিয়াজ উদ্দিনকে হত্যার হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানতে পারেন, একটি সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্যরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে মো. মাসুদ নামে এক আসামির আজ আদালতে জুডিশিয়াল আদালতের বিচারকের নিকট নিজে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্যান্য সহযোগীদের কথা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশের আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, আসামি মাসুদকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেন হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে সে এবং তার সহযোগীরা কিশোর রিয়াজের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে তারা রিয়াজের অটোরিকশাটি নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং রিকসাটি ছিনতায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু রিয়াজ তাদের সঙ্গে জোরাজোরি করায় তারা রিয়াজকে গলা কেটে হত্যা করেন।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অটোরিকশাটি বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর করিমপুর এলাকার গোরস্থান সড়কের হিরো অটোরিকশা গ্যারেজের মালিকের নিকট বিক্রি করে দেন। পরে গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে এবং গ্যারেজের মালিক মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাপুর এলাকার কিল্লারহাটগামী সড়কের উত্তর পাশে সড়কের ওপর অটোরিকশা চালক রিয়াজ উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার পর তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাতে পথচারীরা সড়কের পার্শ্ববর্তী খেতে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানা-পুলিশকে খবর দেয়। নিহত রিয়াজ উদ্দিন উপজেলার বদরপুর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।